১৪২৯ হিজরী সনের পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৯তম দিনে সউদী আরবের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানা যায়। কিন্তু সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার সেদিন চাঁদ দেখার দাবী করে পরের দিন থেকে রবীউছ ছানী মাস গণনা শুরু করে।
১৪২৯ হিজরী সনের পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৯তম দিনে সউদী আরবের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানা যায়। কিন্তু সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার সেদিন চাঁদ দেখার দাবী করে পরের দিন থেকে রবীউছ ছানী মাস গণনা শুরু করে।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে নাসী করা বা মাস আগে-পিছে করা কঠিন হারাম কাজ ও সুস্পষ্ট কুফরী, বরং এ গর্হিত কাজটি কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের নির্দেশ মুবারক উপেক্ষা করে সউদী ওহাবী সরকার প্রতি বছরই প্রত্যেক মাসে নাসী করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
অমাবস্যা হচ্ছে সেই দিন যেদিন চাঁদ কখনোই দৃশ্যমান হয় না। ফলে সেদিন চাঁদ দেখার দাবী করার মতো এতো স্পষ্ট মিথ্যা সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কিভাবে করতে পারে এটাই বিশ্ববাসীর প্রশ্ন।
সউদী ওহাবীরা ইহুদীদের সাথে মিলের বিষয় লক্ষ্য রাখে কিন্তু মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ বাতিলের বিষয়টি উপেক্ষা করে। এতে কি আবারও প্রমাণিত হয় না যে, এরা আসলে ইহুদীদের বংশধর এবং ইহুদী?
আরবী মাস হয় ২৯ বা ৩০ দিনে হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার বিধান। কিন্তু সউদী সরকার যেহেতু ওহাবী এবং ইহুদী। ফলে তাদের শরীয়ত ভিন্ন। যদি তাই না হয়, তবে কেন আরবী মাস ৩১ দিনে গণনা করে? নাঊযুবিল্লাহ!
এখন সউদী আরবে এই মিথ্যা সাক্ষীর বিষয়টি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিয়াদ থেকে মাঝে মাঝে কয়েকজন সাক্ষী এসে এমন সময় চাঁদ দেখার খবর পরিবেশন করে যেদিন পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দৃশ্যমান হয় না।
পবিত্র যিলহজ্জ মাস উনার পহেলা তারিখ হচ্ছে ১১ জানুয়ারী ২০০৫ ঈসায়ী, ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার। আর ঈদুল আদ্বহা পালন করতে হবে ২০ জানুয়ারী ২০০৫ ঈসায়ী, ইয়াওমুল খ¦মীস বা বৃহস্পতিবার। নাঊযুবিল্লাহ!
সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার যে পদ্ধতিতে আরবী মাস উনাদের তারিখ ঘোষণা করে তাতে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু হয়না এমনকি অনেক মাস উনার ত্রিশতম দিনেও চাঁদ দৃশ্যমান হয়না।
সঠিক শর্ত বা ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী চাঁদের আগাম ক্যালেন্ডার রচিত থাকলেও আকাশে চাঁদ তালাশ করতেই হবে যেহেতু প্রতিমাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া।
সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা শর্তকে উপেক্ষা করে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার যত পদ্ধতিই তৈরি করুক না কেন, সে অনুযায়ী আরবী মাস শুরু করলে মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ, রোযাসহ সম্মানিত শরীয়ত উনার অনেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং যাচ্ছে। আর উক্ত মনগড়া নিয়মে আরবী মাস গণনা করায় সে দেশসহ অনুসারী সবার সমস্ত আমল নষ্টের দায়-দায়িত্ব সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশের জন্য ১৪৪৩ হিজরীর পবিত্র সফর শরীফ মাস উনার চাঁদের প্রতিবেদন
চাঁদ মানুষের ইবাদতের সময় নির্ধারক। সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম। চাঁদ দেখে রোজা রাখতে হবে রোজা ভাঙতে হবে। অর্থাৎ সকল মাস চাঁদ দেখে গণনা করতে হবে। আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে।