পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে নাসী করা বা মাস আগে-পিছে করা কঠিন হারাম কাজ ও সুস্পষ্ট কুফরী, বরং এ গর্হিত কাজটি কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের নির্দেশ মুবারক উপেক্ষা করে সউদী ওহাবী সরকার প্রতি বছরই প্রত্যেক মাসে নাসী করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সউদী আরবে ১৪২৯ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস শুরু হয়েছিলো ১০ জানুয়ারী থেকে। ১০ই জানুয়ারী থেকে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস গণনা শুরু করার পর যখন প্রমাণিত হয় যে, পূর্বের মাসটি অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসটি ৩১ দিনে পূর্ণ হয়েছিলো তখন পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার চতুর্থ দিনে সউদী আরবের সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তৎকালীন প্রধান শায়েখ সালেহ আল হাইদান ঘোষণা দেয় যে, ৯ই জানুয়ারী ছিল পবিত্র মুহররমুল হারাম মাস উনার প্রথম তারিখ। নাঊযুবিল্লাহ!
চিত্র : সউদী আরবের ১৪২৯ হিজরী সনের প্রেস রিলিজ
সুতরাং মাস শুরু করার কয়েকদিন পর আবার তারিখ পরিবর্তন করা সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, বরং হারাম ও কুফরী। এছাড়াও ১৪২৫ হিজরীতে উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডারে পহেলা যিলহজ্জ শরীফ ছিলো ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবার, ১২ জানুয়ারী। কিন্তু হঠাৎ করেই সউদী জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানুয়ারীর ১৪ তারিখে অর্থাৎ মাস শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর পবিত্র যিলহজ্জ মাস উনার তারিখ এগিয়ে নিয়ে আসে। নাঊযুবিল্লাহ!
বাস্তবে ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারী, ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার সউদী আরবের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আকাশে চাঁদ দেখা গিয়েছিলো এবং সে অনুযায়ী ১২ জানুয়ারী ছিল পবিত্র পহেলা যিলহজ্জ শরীফ এবং ২১ জানুয়ারী ছিল পবিত্র ঈদুল আদ্বহা পালনের দিন। কিন্তু ১৪ জানুয়ারী এসে তারা নতুন প্রেস রিলিজ দেয়। এই নতুন প্রেস রিলিজে সউদী কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে- পহেলা যিলহজ্জ শরীফ হচ্ছে ১১ জানুয়ারী, ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা পালন করতে হবে ২০ জানুয়ারী, ইয়াওমুল খ¦মীস বা বৃহস্পতিবার। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ ১০ তারিখ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই চাঁদ অস্ত গিয়েছিল। অর্থাৎ সেদিন চাঁদ দেখা যায়নি।
চিত্র : জর্দানের ১৪২৯ হিজরী সনের প্রেস রিলিজ
চিত্র : সিরিয়ার ১৪২৯ হিজরী সনের প্রেস রিলিজ
চিত্র : বাহরাইনের ১৪২৯ হিজরী সনের প্রেস রিলিজ
চিত্র : কুয়েতের ১৪২৯ হিজরী সনের প্রেস রিলিজ
সউদী আরব এবং তার অনুসরণকারী দেশগুলো (বাহরাইন, জর্ডান, কুয়েত, সিরিয়া) ১৪২৮ হিজরী উনার পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস ভুল তারিখে শুরু করার কারণে মাসটি ৩১ দিনে গণনা করতে বাধ্য হয়। যার ফলে তারা এ বিষয়ে প্রেস রিলিজ দিতে বাধ্য হয়।