নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম যে ঘর মুবারক মানবজাতির জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো ওই ঘর মুবারক যা মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। উহা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য পথপ্রদর্শক।
নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম যে ঘর মুবারক মানবজাতির জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো ওই ঘর মুবারক যা মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। উহা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য পথপ্রদর্শক।
চাঁদ মানুষের ইবাদতের সময় নির্ধারক। সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম। চাঁদ দেখে রোজা রাখতে হবে রোজা ভাঙতে হবে। অর্থাৎ সকল মাস চাঁদ দেখে গণনা করতে হবে। আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে।
এটা স্পস্ট বোঝা গেল যে, যেকোন দেশেই চাঁদ প্রথম দেখা যেতে পারে। নির্দিষ্ট একটি দেশে সব সময় চাঁদ দেখা যায়না। তাহলে এবার আমার জানার আগ্রহ একদিনে কি পৃথিবীর সকল দেশ বা স্থানে চাঁদ দেখা সম্ভব?
সউদী আরব তাদের চাঁদ দেখার প্রথম পদ্ধতি কেন বাদ দিল আর দ্বিতীয় পদ্ধতিই বা কেন প্রয়োগ করলো এই বিষয় নিয়ে আমার জানার আগ্রহ ছিল কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে কেউ একজন বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে সউদী আরবের সাথে একই দিনে ঈদ বা রোজা পালন করার জন্য । এ ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চাই।
সউদি আরবের মনগড়া পদ্ধতিগুলোর একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। প্রথম পদ্ধতি থেকেই জানতে চাই। (১৯৫০-১৯৭২): সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ৯ ডিগ্রী উপরে থাকলে সউদী আরব মাস শুরু করতো।
সউদী আরবের মনগড়া নিয়মগুলো কি কি? এটা কি কেবল আপনারাই বলেন নাকি আসলেই তারা তা অনুসরণ করে?
আমি চাঁদ দেখার ব্যাপারে পবিত্র কুরাআন শরীফ উনার মধ্যে কি আছে তা জানতে বাসনা রাখি। এর আগেও শুনেছি সউদী আরব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ অমান্য করে এবং মনগড়া নিয়মে মাস গণনা করে। আমি এর আগেও আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে সউদী আরব সহ অন্য অনেক দেশের চাঁদ দেখা নিয়ে মিথ্যাচারিতা করে কি লাভ, আমি কিন্তু এখনো তার উত্তর পাইনি।
আপনি ইত্তেহাদুল মাতলার পক্ষে দলীল দিতে গিয়ে ৫৪০ মাইলের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বিজ্ঞান দিয়ে। যদিও আপনি ফতোয়ায়ে শামী থেকে ৫৪০ মাইলের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু ৫৪০ মাইলের পক্ষে সম্মানিত শরীয়ত উনার আরও দলীল দিলে ভাল হত।
বর্তমানে একজন মুসাফির ১ দিনে ১ রাতে প্রায় বিশ্ব পরিভ্রমন করতে পারে তাহলে মাস শুরুর ক্ষেত্রে কিভাবে বিজ্ঞান সম্মতভাবে ৫৪০ মাইলের ব্যাখ্যা করতে পারে এ বিষয়ে একটু জানালে খুশী হতাম।
ওয়াহাদাল মাতলার বিষয়টি আসলে কি ? এটি কি কোন মাযহাব সমর্থিত বিষয়? পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী সারা বিশ্বে আরবী মাস শুরু করতে অসুবিধা কোথায়?
মাতলার বিষয়টি খুব স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আরও একটু সহজ করে বললে ভাল হয়।
চাঁদ নিয়ে বিভ্রান্তির মূল কারণ আপনি কোনটি মনে করেন? পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা সারা পৃথিবীর জন্য যদি প্রযোজ্য না হয় তার কি কারন আর যারা কোথাও দেখা গেলে তা সারা পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য মনে করে তারই বা কি কারন?