আন্তর্জাতিক মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল
১৩ শাওওয়াল শরীফ ১৪৪৫ হিজরী

দর্শকঃ মাতলার বিষয়টি খুব স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আরও একটু সহজ করে বললে ভাল হয়।

চাঁদ গবেষকঃ মাতলাকে উদয়-অস্ত স্থল বলে । যে এলাকার পশ্চিমাকাশে চাঁদ দেখা যায়, সূর্য অস্ত যায়, সেটাই সে এলাকার বা অঞ্চলের উদয়-অস্ত স্থল বা মাতলা।

মনে করুন আপনাকে বলা হল যতদূর আকাশ চোখে দেখা যায় তা আপনার। তাহলে আপনি কি করবেন, হয়তো একটি খোলা মাঠে যাবেন সেখানে গিয়ে চারপাশে যতদূর চোখ যায় তাকিয়ে ভাববেন এই আকাশ আপনার। এখন আপনি যদি পশ্চিম অভিমুখে চলতে থাকেন তাহলে যত যেতে থাকবেন ততই আকাশও সরতে থাকবে। তাহলে কতটুকু পথ চলে আপনি ক্ষান্ত হবেন আর আপনার আকাশের দখল নেয়াও শেষ হবে। এই কারনে ইমাম মুস্তাহিদগণ মাতলার একটি সীমারেখা টেনেছেন

তার আগে আসুন একটু হিসেব তা দেখে নেই

৩ দিন ৩ রাতের পথ অতিক্রম করলে হয় মুসাফির এবং তা  দুরত্বে ৫৪ মাইল। তাহলে ১ দিন ১ রাতের পথ সমান ১৮ মাইল। ৩০ দিনে মোট দূরত্ব হয় ১৮x৩০ = ৫৪০ মাইল। (ফতওয়ায়ে শামী)

[১ ফারসাখ= ৩ মাইল

১৮ ফারসাখ X ৩ মাইল= ৫৪ মাইল

১ মাস বা ৩০ দিন x ১৮ মাইল= ৫৪০ মাইল]

অর্থাৎ এই দূরত্বের পথ পর্যন্ত চারিদিকের আকাশ আপনার জন্য আর এই আকাশের পশ্চিমে চাঁদ উঠলে সে অনুযায়ী আপনি মাস শুরু করতে পারবেন। আর এই সীমার আকাশ হচ্ছে এক উদয়স্থলের মধ্যে যার দূরত্ব ৫৪০ মাইল। আর এটিই হচ্ছে হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইত্তেহাদুল মাতলার ব্যাখ্যা।