অনেকে বলে থাকে চাঁদ পশ্চিমে উঠে ফলে পশ্চিমের দেশগুলোতে চাঁদ আগে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন?
অনেকে বলে থাকে চাঁদ পশ্চিমে উঠে ফলে পশ্চিমের দেশগুলোতে চাঁদ আগে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন?
আপনারা প্রায়শই বলেন সউদি আরব “মনগড়া” নিয়মে মাস শুরু করেছে। এই মনগড়া নিয়মটা আবার কি। আরবী মাস শুরু করতে হয় সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ অনুযায়ী অর্থাৎ চাঁদ দেখে।”মনগড়া নিয়মে” কিভাবে চাঁদ দেখে?
যারা বলে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা সাড়া পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য, এ ব্যপারে আপনি কি বলেন?
আমাদের দেশে একবার চাঁদ দেখা নিয়ে একটু ঝামেলাই হয়েছিলো। মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল (আন্তর্জাতিক) নামক চাঁদ দেখা কমিটি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কতৃপক্ষ বলেছিলেন যে চাঁদ দেখা যায়নি কিন্তু একজন তথাকথিত নামকরা মাওলানা ও রাজনীতিবিদ বলেছিলেন যে তিনি ৩ ঘণ্টা ধরে চাঁদ দেখেছেন। তাহলে বলুন সাধারণ মানুষের রিপোর্ট না হয় বিশ্বাস করবোনা কিন্তু মাওলানার স্টেটমেন্টের কি হবে? উনাকে কি বিশ্বাস করবোনা?
বাংলাদেশে যেমন ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল (আন্তর্জাতিক)’ নামক চাঁদ দেখা কমিটি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে, সউদীতে কি সেরকম চাঁদ দেখা কমিটি নেই?
আপনারা যারা চাঁদ নিয়ে কাজ করেন প্রায়শই বলে যাচ্ছেন,লিখে যাচ্ছেন সউদি আরব চাঁদ না দেখে মাস শুরু করে। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কথা? আরবী মাস শুরুর পদ্ধতিতো সহজ।
অমাবস্যার পর, আরবী মাসের ২৯ তারিখে আমরা যখন আকাশে বাঁকা চাঁদ তালাশ করি তা কখনো দেখতে পাই কখনো পাইনা। বাঁকা চাঁদ কখন দেখা যেতে পারে বা কখন দেখা যাবেনা তার উপর অনেক গবেষণা হয়েছে যা ইতোপূর্বে আমরা আমাদের অন্যান্য বইগুলোতে আলোচনা করেছি। কিন্তু অনেক সময় বাঁকা চাঁদ দেখতে পাবার আকৃতিতে আসার পরেও আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়না।
এই বিষয়টি আমরা প্রমাণ করবো সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে, আর সম্মানিত শরীয়ত উনার বিষয়টি স্পস্ট করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানের আলোকে শুরুতে কিছুটা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। বাজারে পাওয়া অনেক বইতে চাঁদ দেখা নিয়ে যখন বিজ্ঞান টেনে নিয়ে আসে তখন নীচের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করে। চাঁদের দৃশ্যমান হওয়াটা পৃথিবীর চারপাশে প্রতি ঘন্টায় এই ডিগ্রী বাড়ার উপর নির্ভরশীল নয়। সাথে রয়েছে আরও অনেক ফ্যাক্টর।