আপনি ইত্তেহাদুল মাতলার পক্ষে দলীল দিতে গিয়ে ৫৪০ মাইলের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বিজ্ঞান দিয়ে। যদিও আপনি ফতোয়ায়ে শামী থেকে ৫৪০ মাইলের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু ৫৪০ মাইলের পক্ষে সম্মানিত শরীয়ত উনার আরও দলীল দিলে ভাল হত।
আপনি ইত্তেহাদুল মাতলার পক্ষে দলীল দিতে গিয়ে ৫৪০ মাইলের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বিজ্ঞান দিয়ে। যদিও আপনি ফতোয়ায়ে শামী থেকে ৫৪০ মাইলের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু ৫৪০ মাইলের পক্ষে সম্মানিত শরীয়ত উনার আরও দলীল দিলে ভাল হত।
বর্তমানে একজন মুসাফির ১ দিনে ১ রাতে প্রায় বিশ্ব পরিভ্রমন করতে পারে তাহলে মাস শুরুর ক্ষেত্রে কিভাবে বিজ্ঞান সম্মতভাবে ৫৪০ মাইলের ব্যাখ্যা করতে পারে এ বিষয়ে একটু জানালে খুশী হতাম।
ওয়াহাদাল মাতলার বিষয়টি আসলে কি ? এটি কি কোন মাযহাব সমর্থিত বিষয়? পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী সারা বিশ্বে আরবী মাস শুরু করতে অসুবিধা কোথায়?
মাতলার বিষয়টি খুব স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আরও একটু সহজ করে বললে ভাল হয়।
চাঁদ নিয়ে বিভ্রান্তির মূল কারণ আপনি কোনটি মনে করেন? পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা সারা পৃথিবীর জন্য যদি প্রযোজ্য না হয় তার কি কারন আর যারা কোথাও দেখা গেলে তা সারা পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য মনে করে তারই বা কি কারন?
অনেকে বলে থাকে চাঁদ পশ্চিমে উঠে ফলে পশ্চিমের দেশগুলোতে চাঁদ আগে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন?
আপনারা প্রায়শই বলেন সউদি আরব “মনগড়া” নিয়মে মাস শুরু করেছে। এই মনগড়া নিয়মটা আবার কি। আরবী মাস শুরু করতে হয় সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ অনুযায়ী অর্থাৎ চাঁদ দেখে।”মনগড়া নিয়মে” কিভাবে চাঁদ দেখে?
যারা বলে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা সাড়া পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য, এ ব্যপারে আপনি কি বলেন?
আমাদের দেশে একবার চাঁদ দেখা নিয়ে একটু ঝামেলাই হয়েছিলো। মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল (আন্তর্জাতিক) নামক চাঁদ দেখা কমিটি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কতৃপক্ষ বলেছিলেন যে চাঁদ দেখা যায়নি কিন্তু একজন তথাকথিত নামকরা মাওলানা ও রাজনীতিবিদ বলেছিলেন যে তিনি ৩ ঘণ্টা ধরে চাঁদ দেখেছেন। তাহলে বলুন সাধারণ মানুষের রিপোর্ট না হয় বিশ্বাস করবোনা কিন্তু মাওলানার স্টেটমেন্টের কি হবে? উনাকে কি বিশ্বাস করবোনা?
বাংলাদেশে যেমন ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল (আন্তর্জাতিক)’ নামক চাঁদ দেখা কমিটি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে, সউদীতে কি সেরকম চাঁদ দেখা কমিটি নেই?
আপনারা যারা চাঁদ নিয়ে কাজ করেন প্রায়শই বলে যাচ্ছেন,লিখে যাচ্ছেন সউদি আরব চাঁদ না দেখে মাস শুরু করে। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কথা? আরবী মাস শুরুর পদ্ধতিতো সহজ।
অমাবস্যার পর, আরবী মাসের ২৯ তারিখে আমরা যখন আকাশে বাঁকা চাঁদ তালাশ করি তা কখনো দেখতে পাই কখনো পাইনা। বাঁকা চাঁদ কখন দেখা যেতে পারে বা কখন দেখা যাবেনা তার উপর অনেক গবেষণা হয়েছে যা ইতোপূর্বে আমরা আমাদের অন্যান্য বইগুলোতে আলোচনা করেছি। কিন্তু অনেক সময় বাঁকা চাঁদ দেখতে পাবার আকৃতিতে আসার পরেও আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়না।