আন্তর্জাতিক মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল
৫ জুমাদাল উখরা শরীফ ১৪৪৬ হিজরী

চাঁদ নিয়ে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের ষড়যন্ত্রের অনেক দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা হলো তবে সে দলীল-প্রমাণগুলোর অধিকাংশই ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানের আলোকে।

এছাড়াও সেখানকার মুফতীদের ফতওয়া উল্লেখ করেও সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের চাঁদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দেয়া হয়েছে।

তারপরেও হয়তো অনেকের বোধোদয় হচ্ছেনা। আর তাই সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক চাঁদ নিয়ে বিভ্রান্তির যে তথ্য সেখানকার গণমাধ্যমেই এসেছে, সে তথ্য এখন উপস্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রমাণ এক : ১৪২০ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতর সঠিক তারিখে না হওয়ার কারণে “আরব নিউজ” ২০০০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী, জুমু‘আ বার এ বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে।

 

প্রমাণ দুই : ১৪২০ হিজরীর ৬ই শাওওয়াল, ইয়াওমুল খ¦মীস, “আদ দাওয়া” ম্যাগাজিনে এ ব্যাপারে নিবন্ধ প্রকাশ করে।

 

প্রমাণ তিন : শাইখ আল মানিয়া ১৯৯৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর, ইয়াওমুল আহাদ “আল জাজিরাতে” চাঁদের বিভ্রান্তি নিয়ে মত প্রকাশ করে।
http://www.alriyadh.com/2007/10/21/article288058.html

 

প্রমাণ চার : সউদী আরব যেদিন ১৪২৭ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয় সেদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই চাঁদ অস্ত যায় এবং সউদী আরবের ৬টি চাঁদ দেখা কমিটিও চাঁদ দেখতে পায়নি। যে সাক্ষীর ভাষ্য অনুযায়ী মাস ঘোষণা দেয়া হয় তাকে গণমাধ্যমের কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করা হয়।

 

প্রমাণ পাঁচ : ১৪২৫ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস চাঁদ না দেখে শুরু হওয়াতে সউদী “আল ওয়াতান” পত্রিকায় Testimonies of the Impossible শিরোনাম দিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে সউদী লেখক হামযা আল মুযাইনি। “আল হায়াত” পত্রিকা থেকে সাক্ষীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে গণমাধ্যমের সামনে আনা হয়নি আর কিং আব্দুল আযীয বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গিয়ে দেখতে পায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ। অর্থ দিয়ে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিলো।

 

প্রমাণ ছয় : মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাষ্য অনুযায়ী (যা সঠিক ছিল) ২০০৭ সালের ১লা অক্টোবর, ইছনাইনিল আযীম শরীফে “আরব নিউজ”-এ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার তারিখ ঘোষিত হয় ১৩ই অক্টোবর, ইয়াওমুস সাবত। কিন্তু সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার তারিখ এগিয়ে এনে ১২ই অক্টোবর, জুমু‘আ বারে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে জনগণকে বাধ্য করে। নাঊযুবিল্লাহ!