আন্তর্জাতিক মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল
১৬ শাওওয়াল শরীফ ১৪৪৫ হিজরী

মহান আল্লাহ পাক উনার অসাধারণ এক হিকমতময় সৃষ্টি হচ্ছে চাঁদ। মুসলমান উনাদের ইবাদত-বন্দেগীর সাথে চাঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার নিকট মানুষেরা চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে, আপনি বলে দিন, চাঁদ হচ্ছে মানুষের জন্য ইবাদত উনার সময় নির্ধারক এবং সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা রোযা রাখুন চাঁদ দেখে এবং রোযা ভঙ্গ করুন (শাওওয়াল মাসের) চাঁদ দেখে। যদি মেঘ অথবা অন্য কোন কারণে আপনাদের প্রতি চাঁদ দেখা না যায় তবে শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করবেন।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ ১৭৪)

সুতরাং পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত আদেশ-নিষেধ সমূহ থেকে যা স্পষ্ট তা হচ্ছে-
১) চাঁদ হলো মানুষের ইবাদতের সময় নির্ধারক।
২) সম্মানিত হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম।
৩) চাঁদ দেখে রোযা রাখতে হবে ও রোযা ভাঙতে হবে অর্থাৎ সকল মাস চাঁদ দেখে গণনা করতে হবে।
৪) আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে।
৫) সর্বোপরি মুসলমান উনাদের জন্য হিলাল বা বাঁকা চাঁদ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।