দর্শকঃ সউদি আরবের মনগড়া পদ্ধতিগুলোর একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। প্রথম পদ্ধতি থেকেই জানতে চাই।
চাঁদ গবেষকঃ এটা ঠিক হঠাত করে এরকম ক্রাইটেরিয়ার কথা সাধারণের পক্ষে বোঝা সহজ নয় তাই আমরা একটু পরিস্কার করেই বলতে চাই। আসুন প্রথম পদ্ধতির কথাঃ
(১৯৫০-১৯৭২): সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ৯ ডিগ্রী উপরে থাকলে সউদী আরব মাস শুরু করতো।
সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার ৯ ডিগ্রী উপরে থাকলেই আরবী মাস শুরু করা যায়না।চাঁদ শুধু ৯ ডিগ্রী নয় তারচেয়ে বেশী উচ্চতায় থাকলেও দৃশ্যমান নাও হতে পারে।সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী চাঁদ তালাশ করতে হবে এবং মাস শুরু করার জন্য চাঁদ খালি চোখে দেখতে হবে।
অনেকগুলো বিষয় যখন অনুকূলে থাকে তখন চাঁদ দেখা যাবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদের বয়স, চাঁদ- সূর্যের কৌণিক দূরত্ব, দিগন্তরেখার উপর চাঁদের উচ্চতা, চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য ইত্যাদি। তারপরেও চাঁদ খালি চোখে দেখতেই হবে। এখন সউদী আরব কি করে মাসের ২৯ তারিখে সূর্যাস্তের সময় দিগন্তরেখার ৯ ডিগ্রি উপরে চাঁদ থাকলেই মাস শুরু করতো তা কখনোই বোধগম্য নয়। এতে দেখা গেছে বেশীরভাগ মাস চাঁদ না দেখেই শুরু হয়েছে।
দর্শকঃ সউদী আরব কি ১৯৫০ সালের আগে খালি চোখে চাঁদ দেখতো?
চাঁদ গবেষকঃ অবশ্যই। শুধু সউদী আরব নয় পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশেই কোন ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার করে মাস শুরু হত না। ১৯৪৮ সালে CIA প্রতিষ্ঠার পর থেকে খালি চোখে চাঁদ না দেখে বরং পদ্ধতি ব্যবহার করে মাস শুরু হবার নিয়ম চালু হয়েছে। যেমন একটি তথ্যে পাওয়া যায় সউদী আরবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বিন সউদ যখন ১৯০০ সালের শুরুর দিকে রিয়াদ আক্রমন করে তখন রমজান মাষের শেষে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখে অভিযান পরিচালনা করে। ( পৃষ্ঠা- ২৯ , ডেজারট কিং , ডেভিট হাওয়াট)। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক ছিল কারণ তখন কোন ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার করার সুযোগও ছিলনা।