আন্তর্জাতিক মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল
৫ জুমাদাল উখরা শরীফ ১৪৪৬ হিজরী

দর্শকঃ সউদী আরবের মনগড়া নিয়মগুলো কি কি? এটা কি কেবল আপনারাই বলেন নাকি আসলেই তারা তা অনুসরণ করে?

চাঁদ গবেষকঃ সউদী আরব যা করছে আমরা তাই বলে থাকি। সউদি আরবের নিয়মগুলো তাদের মহাকাশ বিজ্ঞানীরাই বলে থাকে। আজকে এখানে আমরা আবার উল্লেখ করছি। একটি বিষয় ভালভাবে মনে রাখতে হবে যে কোন মাযহাবেই চাঁদ কিভাবে দেখতে হবে তা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই। অর্থাৎ কোন মাযহাব পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং কোন হাদীস শরীফ উনার নির্দেশের খিলাপ দেননি এবং দিতে পারেন না। চাঁদ খালি চোখেই দেখতে হবে। কিন্তু দেখার পর কতটুকু এলাকা নিয়ে উদযাপন করতে হবে সে নিয়ে মাযহাব সমূহের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সউদী আরব চাঁদ দেখার ক্ষেত্রেই সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ অমান্য করে যাচ্ছে।

দর্শকঃ আপনি বলতে চাচ্ছেন সউদী আরব তাহলে চাঁদ দেখার পদ্ধতির মধ্যেই সমস্যা সৃস্টি করেছে?

চাঁদ গবেষকঃ অবশ্যই। তাহলে শুনুন।
সউদি সরকার এ পর্যন্ত ৪টি মনগড়া পদ্ধতি ব্যবহার করেছে :
১। প্রথম পদ্ধতি (১৯৫০-১৯৭২): সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ৯ ডিগ্রী উপরে থাকলে মাস শুরু করতো।
(সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার ৯ ডিগ্রী উপরে থাকলেই আরবী মাস শুরু করা যায়না।চাঁদ শুধু ৯ ডিগ্রী নয় তারচেয়ে বেশী উচ্চতায় থাকলেও দৃশ্যমান নাও হতে পারে।সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী চাঁদ তালাশ করতে হবে এবং মাস শুরু করার জন্য চাঁদ চোখে দেখতে হবে।)

২। দ্বিতীয় পদ্ধতি (১৯৭৩-১৯৯৮): মধ্য রাতের পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হলে পরের দিন থেকে নতুন মাস শুরু হতো।আবার সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স ১২ ঘন্টার বেশী হলে নতু মাস শুরু করতো।

৩। তৃতীয় পদ্ধতি ( ১৯৯৮/৯৯-২০০১): সূর্যাস্তের ১ মিনিট পরেও চন্দ্র অস্ত গেলে নতুন মাস শুরু হতো।

৪। চতুর্থ পদ্ধতি (২০০৩-বর্তমান সময় পর্যন্ত): যদি সূর্যাস্তের পর চন্দ্র অস্ত যায় এবং সূর্যাস্তের পূর্বে অমাবস্যা সংঘটিত হয় তবে পরের দিন থেকে নতুন মাস শুরু করে।

উপরের কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেই আরবী মাস শুরু করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ নয়।সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী চাঁদ খালি চোখে দেখে মাস শুরু করতে হবে ।