দর্শকঃ আমি চাঁদ দেখার ব্যাপারে পবিত্র কুরাআন শরীফ উনার মধ্যে কি আছে তা জানতে বাসনা রাখি। এর আগেও শুনেছি সউদী আরব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ অমান্য করে এবং মনগড়া নিয়মে মাস গণনা করে। আমি এর আগেও আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে সউদী আরব সহ অন্য অনেক দেশের চাঁদ দেখা নিয়ে মিথ্যাচারিতা করে কি লাভ, আমি কিন্তু এখনো তার উত্তর পাইনি।
চাঁদ গবেষকঃ এ যাবত সউদী আরবের আগাম রচিত উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডারের অনুসরণ, চাঁদ দেখা বিষয়ে তাদের কমিটির রিপোর্টকে উপেক্ষা, মাতলা বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা ইত্যাদি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে আর এসব আলোচনা করা হয়েছে যেন চাঁদ দেখা নিয়ে আপনার ধারণাকে শাণিত করা যায়, আপনি নিজেই যেন সউদী আরবের মিথ্যাচারিতার বিষয়টি ধরতে সক্ষম হন। এখনো যদি বিষয়টি স্পস্ট না হয় তবে আরও আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
দর্শকঃ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের কোথাও কি চাঁদ না দেখে বরং হিসেব করে মাস শুরু করার কথা আছে?
চাঁদ গবেষকঃ স্পস্ট উত্তর হচ্ছে ,কালামুল্লাহ শরীফ উনার কোথাও হিসেব করে মাস শুরু করার কথা নেই বরং চাঁদ দেখে মাস শুরু করার নির্দেশ মুবারক হয়েছে। যেমন
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাক-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
يسئلونك عن الاهل قل هى موقيت للناس والحج.
“লোকেরা আপনার কাছে চাঁদ সম্পর্কে জানতে আরজি করে। আপনি বলে দিন সেটা হলো মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হজ্জের সময় ঠিক করার মাধ্যম।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن ابى هريرة رضى الله تعالى قال قال رسول صلى الله عليه وسلم صوموا لرؤيته وافطروا لرؤيته فان غم عليكم فاكملوا عدة شعبان ثلثين.
অর্থঃ- “হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা রোযা রাখ চাঁদ দেখে এবং রোযা ভাঙ্গ (শাওওয়ালের) চাঁদ দেখে। যদি মেঘের কারণে তোমাদের প্রতি চাঁদ গোপন থাকে তবে শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ-১৭৪)
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ” আহিল্লা” শব্দ মুবারক ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ “বাকা চাঁদ”। আর হাদিস শরীফ উনার মাঝেও স্পষ্ট বলা হয়েছে খালি চোখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করার কথা।